Tuesday, September 23, 2025
বাঙালি কাউন্টডাউন
HomeScrollপুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ছত্তিশগড়ে নিকেশ দুই শীর্ষ মাও নেতা
Chattisgarh

পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ছত্তিশগড়ে নিকেশ দুই শীর্ষ মাও নেতা

দু’জনের মাথার দাম ছিল ৮০ লক্ষ টাকা

ওয়েব ডেস্ক: ফের মাও দমনে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির দুই শীর্ষ মাও নেতা। এবারের অভিযানের ঠিকানা ছিল ছত্তিশগড়ের অবুঝমাঢ় এলাকা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার একটি AK-47 রাইফেল, একটি INSAS রাইফেল, একটি BGL লঞ্চার এবং প্রচুর বিস্ফোরক। নিরাপত্তাবাহিনীর এই অভিযানে সাধুবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

পুলিশ সূত্রে খবর, ২২ সেপ্টেম্বর ছত্তিশগড়ের অবুঝমাঢ় এলাকায় মাওবাদীদের লুকিয়ে থাকার খবর কানে আসে নিরাপত্তাবাহিনীর। খবর পেতেই অভিযানে নামে ছত্তিশগড় পুলিশের ডিআরজি ফোর্স এবং আইটিবিপি। এলাকা ঘিরে শুরু হয় তল্লাশি। নিরাপত্তাবাহিনীর আচমকা আগমন টের পেয়ে নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। গুলির পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। বেশ কয়েক ঘণ্টা দু’পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই চলার পর শেষমেশ খতম হয় কেন্দ্রীয় কমিটির দুই প্রধান রাজু দাদা ও কোসা দাদা। দুজনেই তেলেঙ্গানার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। দু’জনের মাথার দাম ছিল ৮০ লক্ষ টাকা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার একঝুলি অস্ত্রসস্ত্র। বহুদিন ধরেই তাঁর খোঁজে ছিল পুলিশ।

আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের নয়া ফরমান, বিরাট চাপে প্রাইমারি শিক্ষকরা

নিরাপত্তাবাহিনীর এই অভিযানে সাধুবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আজ আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী নকশালদের বিরুদ্ধে আরেকটি বড় জয় অর্জন করেছে। মহারাষ্ট্র-ছত্তিশগড় সীমান্তে নারায়ণপুরের আবুঝামাদ অঞ্চলে আমাদের বাহিনী দুই কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নকশাল নেতা কাট্টা রামচন্দ্র রেড্ডি এবং কাদ্রি সত্যনারায়ণ রেড্ডিকে খতম করেছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী নকশালদের শীর্ষ নেতৃত্বকে পরিকল্পিতভাবে ভেঙে দিচ্ছে। লাল সন্ত্রাসের মেরুদণ্ড ভেঙে দিচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী মুছে ফেলার ডাক দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সেই লক্ষ্যেই ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যের মাও ডেরায় অভিযানের মাত্রাও বেড়েছে। ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র ও তেলেঙ্গানা সীমানা ঘেঁষা পাহাড় ও জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়ে থাকা ১০০০ মাওবাদীকে ধরতে নামানো হয়েছে প্রায় ২০ হাজারের বেশি যৌথ বাহিনীকে। এবার সেই লক্ষ্যেই আরও একধাপ এগোলো লাল সন্ত্রাস দমন। নিরাপত্তা বাহিনীর এই অভিযানকে বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করছে নিরাপত্তাবাহিনী।

দেখুন অন্য খবর 

Read More

Latest News